কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরু করলো বেক্সিমকো ফার্মা

আজ থেকে কুয়েতে ওষুধ রপ্তানী শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। পারস্য মহাসাগরীয় অঞ্চলের কোন দেশে বাংলাদেশী কোম্পানির ওষুধ রপ্তানীর ঘটনা এটাই প্রথম। এই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে কোম্পানিটির টঙ্গীস্থ কারখানা প্রাঙ্গনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আদেল মোহাম্মদ এ এইচ হায়াত, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান, এমপি, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা সহ কোম্পানির অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে অ্যাজমা রোগের প্রতিষেধক অ্যজমাসল ও বেক্সিট্রল এফ এবং ব্লাড প্রেসার এর ওষুধ এমডোকাল কুয়েতে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ বছরই আরও কয়েকটি ওষুধ রপ্তানির তালিকায় যোগ হবে। ছয়টি আরব দেশ নিয়ে সংগঠিত পারস্য মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ওষুধের মোট বাজার প্রায় ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং কুয়েতের বাজার প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের। 

কুয়েতে ওষুধ রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পাশাপাশি কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আজ বেক্সিমকো ফার্মার বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখে এর বিশ্বমানের উৎপাদন সুবিধার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন অদূঢ় ভবিষ্যতে এই কোম্পানির ওষুধ উল্লেখযোগ্য হারে কুয়েতে রপ্তানি হবে। 

কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরু উপলক্ষ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, “বেক্সিমকো ফার্মা এখন বিভিন্ন সম্ভবনাময় এবং উন্নত দেশের বাজারে নিজের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গালফ্ কান্ট্রিজ, এবং অষ্ট্রেলিয়ার মতো দ্রুত প্রসারমান বাজারগুলো এখন রপ্তানির জন্য প্রাধান্য পাচ্ছে। গাল্ফ বা জিসিসি’র দেশগুলো আমাদের ওষুধ রপ্তানির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কুয়েতে ওষুধ রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে বেক্সিমকো ফার্মার জন্য ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হলো। জিসিসি’তে ক্রমেই আমাদের রপ্তানিকৃত ওষুধের তালিকা বড় হবে এবং আমরা আশা করছি রোগীদের আমরা নিরাপদ এবং সুলভ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সক্ষম হব।”