দেশের পোশাক শিল্প বিকাশে ভূমিকা রাখবে ‘ইউনিট কস্ট ইকোনমিকস’

ঢাকায় শেষ হয়ে গেল চারদিনব্যাপী পোশাক খাতের সরঞ্জাম পণ্যের প্রদর্শন ‘গার্মেন্টটেক বাংলাদেশ-২০১৭’। চারদিনের এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, জাপান, তাইওয়ানসহ ২৪টি দেশের ৪০০ প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। পোশাক শিল্পের সর্বশেষ প্রযুক্তি স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত খ্যাতনামা প্রযুক্তিবিদরাও থাকছেন এই প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে টেক্সটাইল টুডের আয়োজনে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় যেখানে বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক শিল্পে নেতৃত্বদানের জন্য যেসব বাধা ও সুযোগ রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
থ্রেডসল বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আনাস শাকিল
সেমিনারে দেশের পোশাক শিল্পের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রযুক্তি বিশারদ আনাস শাকিল বলেন, আমরা যদি দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশ হওয়ার চিন্তা করি তাহলে কখনোই এক নম্বরে যেতে পারব না।
বর্তমানে পোশাক রপ্তানির দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। এ বছর বাংলাদেশ পোশাক রফতানি করে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। ২০২১ সাল নাগাদ এটিকে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
অনুষ্ঠানের অন্যতম বক্তা থ্রেডসল বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড আনাস শাকিল বলেন, ইউনিট কস্ট ইকোনমিক্স বাংলাদেশে পোশাক রফতানির আয় বৃদ্ধিতে প্রধান হাতিয়ার বলে মনে করে থ্রেডসল। ৫০ বিলিয়ন ডলারের আয়ের ওই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ব্যয়ের ক্ষেত্রে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। কারণ এটির ওপরই আয় নির্ভর করে।

আগে দেখা গেছে, সস্তা শ্রমের কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বাজারে তাদের প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ক্রমাগত লেবার ইউনিয়ন ও শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ আর ওই সুবিধা পাবে না।
এ বিষয়ে আনাস শাকিল বলেন, এখানেই ভ’মিকা রাখতে পারে ইউনিট কস্ট ইকোনমিকস। পোশাক কারখানা মালিকদের প্রাথমেই নির্ধারণ করতে হবে একটি পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে দাম নির্ধারণ করতে কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আর তা বিবেচনা করেই দাম কমানোর জন্য কাজ করতে হবে। বর্তমানে কোনো পোশাক তৈরির মোট খরচের ৬০-৭০ ভাগই ব্যয় হয় কাপড়ে তাই এই ব্যয় যদি কিছু হারেও কমানো যায় তাহলে খরচের বড় একটা অংশ সঞ্চয় করা যাবে।
এক্ষেত্রে থ্রেডসলের মতো প্রযুক্তি কাপড়ের অপচয় কমিয়ে সার্বিক ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে। থ্রেডসলের ইনটেলোকাট এবং ইনটেলোবাই সল্যুশন গার্মেন্স প্রস্তুতকারকদের সঠিক পরিমানের ফ্যাব্রিক ক্রয় নিশ্চিত কওে এবং ফ্রেব্রিক অপচয় ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনে।

Post a Comment

Previous Post Next Post