বাংলাদেশে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শুরু করছে ভিএলসিসি

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬: স্থুলতার ঝুঁকি স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে বাংলাদেশ কাজ করছেন ভিএলসিসি এবার তারা আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট বা দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কার শুরু করছে।

মঙ্গলবার (১৩.১২.২০১৬) রাজধানীর হোটেল লে মেরিডিয়ানে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এমন কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা বান্দানা লুথরা।

তিনি বলেন, বিশ্বের ৩০টি দেশে ১২১ শহরে, লাখ স্টোরের মাধ্যমে মানুষকে সুস্থ্য রাখতে কাজ করছে ভিএলসিসি। বাংলাদেশে এই সেবা চালু হয় ২০১১ সাল থেকে। এরপর থেকে দারুণ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বছর থেকে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
ভিএলসিসি প্রতিষ্ঠাতা বান্দানা  লুথরা 


বান্দানা লুথরা বলেন, বাংলাদেশ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ খুব দ্রুত উন্নত হচ্ছে। দেশের মধ্যে একটি বৃহৎ মধ্যবর্তী আয়ের গোষ্ঠী রয়েছে যাদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং সুস্থতার জন্য ভিএলসিসির মতো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত যখন প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের মানুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং তরুণদের মধ্যে সৌন্দর্য্যবোধ বৃদ্ধি বিভিন্ন সাজ সজ্জার প্রশিক্ষণ দিবে তখন তাদের মধ্যে ভিএলসিসি নিজেকে খুঁজে পাবে।

তিনি বলেন, আমরা কর্মীদের ক্ষেত্রে যে দর্শন অনুসরণ করি তা হল নতুন কর্মীদের উন্নয়নের জন্য আমরা প্রশিক্ষণের উপর অত্যাধিক গুরুত্ব দেই যেন তারা গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা দিতে পারে। অন্যদিকে অর্থনীতির সর্ব ক্ষেত্রেই ভিএলসিসি মেধাবীদের উপর বিনিয়োগে সর্বদা গুরুত্ব আরোপ করে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের বিবাহিত নারীদের মধ্যে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন স্থুলতায় আক্রান্ত, আর এই সংখ্যা গ্রামের থেকে শহরের আরো বেশি।১ স্থুলতার সাথে ডায়াবেটিসের গভীর সম্পর্ক; বর্তমানে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস আক্রান্ত দেশের মধ্যে পঞ্চম যেখানে প্রতি ১১ জনের মধ্যে জন বা বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে . শতাংশ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।২


উচ্চরক্তচাপ, হাইপারথাইরয়েড, পিসিওএস, ডায়াবেটিস, বাত এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের জন্য শারিরীক স্থুলতার অন্যতম কারণ।  শুধু তাই নয়, বর্তমানে শিশু এবং বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর কিশোরীদের মধ্যেও স্থুলতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  

ভিএলসিসি গত বছর ডিএনএ-স্কিন নামের এক নতুন সেবার প্রবর্তন করেছিল। আর বছর চর্বি জমানোর জন্য কুলস্কাল্পটিং নামের নতুন আরেক সেবার উদ্ভাবন করেছে ভিএলসিসি। এটি এফডিএ (ইউএস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন) থেকে ছাড়প্রাপ্ত অস্ত্রপচারহীন চিকিৎসা ব্যবস্থা যেখানে নিয়ন্ত্রিত শীতলকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চর্বি অপসারণ করা হয়। এছাড়া শরীরের আকৃতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্ভ এক্সপার্ট থ্রি ডি পাওয়ার শেপার থেরাপির চালু করেছে ভিএলসিসি। এটা শরীরের জমাকৃত চর্বি ভেঙ্গে ফেলে বিষক্রিয়া দূর করে দৃঢ় শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


এক নজরে ভিএলসিসি:
দেহের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং ওজন কমানোর জন্য ১৯৮৯ সালে একটি সেবা প্রতিষ্ঠানের শুরু করেন মিসেস বান্দানা লুথরা যা পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে ভিএলসিসি হেলথ কেয়ার লিঃ নামে অন্তভুক্ত হয়। এটি ভারতসহ বিশে^ বিভিন্ন দেশে তার মানসম্মত পণ্য এবং সেবার জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে ব্যাপক আস্থা অর্জন করেছে। ভিএলসিসিতে  প্রায় ৪০০০ পেশাজীবী কাজ করেন যাদের মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, পুষ্টিবিদ, ফিজিওথেরাফিস্ট এবং কসমেটিওলজিস্ট।


আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: www.vlccglobal.com


Post a Comment

Previous Post Next Post