জার্মানভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম কনসালটেন্সি, টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশন প্রতিষ্ঠান টুভ সুড বিশ্বব্যাপী খ্যাতনামা ইংরেজির দক্ষতা নির্ধারণে পরীক্ষা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান পিয়ারসনের সঙ্গে একযোগে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাংলাদেশে পরীক্ষা পোর্টফোলিও সম্প্রসারণের জন্যই তাদের এ কার্যক্রম।

অগ্রিম মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করে একজন আবেদনকারী পিটিই একাডেমিক পরীক্ষা দিতে পারেন। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তিন ঘণ্টার ওই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এতে একজন আবেদনকারীর সময় ও শ্রম দুটিই বাঁচে। স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার মডিউলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর রিডিং, রাইটিং, লিসেনিং এবং স্পিকিং টেস্ট রেকর্ড করা হয়। হাভার্ড, ইয়েল এবং ইনসিয়াড এর মতো হাজার হাজার একাডেমিক প্রোগ্রামে সেই ফলাফল গৃহীত হয়ে আসছে।
টুভ সুড প্রধানত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক এমন আবেদনকারীদের ট্রেনিং ও মক টেস্ট প্রদান করে থাকে।
পিয়ারসনের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও বাংলাদেশে কার্যক্রম বিস্তার সম্পর্কে টুভ সুড বাংলাদেশ (প্রাইভেট) লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর নিলান এজিলান বলেন, ‘বিদেশে পড়তে যেতে ও অভিবাসী হতে ইচ্ছুক এমন বাংলাদেশিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এতে ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধির পরীক্ষার চাহিদাও বেড়েছে। আবেদনকারীদের প্রথম কথাই হচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতি হবে দ্রুত ও মানসম্মত। এ লক্ষ্য পূরণের জন্যই আমরা পিয়ারসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ শুরু করেছি।’
নিলান এজিলান আরো বলেন, ‘পিয়ারসনের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে টেকনিক্যাল ও ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনালদের যেসব সুযোগ-সুবিধা দেব তা তাদের দারুণ কাজে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ১ কোটি ডলারের যে সম্ভাব্য বাজার আছে সেটা ধরাই আমাদের উদ্দেশ্য। আর এ ক্ষেত্রে সম্প্রসারণশীল বাজার হতে পারে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ।’
টুভ সুড গ্রুপের মালিকানাধীন টুভ সুড সাউথ এশিয়ার একাডেমি বিভাগ ২০০৮ সাল থেকে ভারতে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে কাজ করে আসছে। টেকনিক্যাল থেকে সফট স্কিল ট্রেনিং এবং দীর্ঘমেয়াদ থেকে একদিনের স্বল্পমেয়াদে অটোমোবাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেক্সটাইল, ফুড, কনস্ট্রাকশন, অয়েল ও গ্যাসের ওপর ট্রেনিং কার্যক্রম রয়েছে তাদের।
বিশ্বে ইন্ড্রাস্ট্রি, মবিলিটি ও সার্টিফিকেশনের ওপর কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টুভ সুড শীর্ষস্থানীয়। ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জার্মানির মিউনিখভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বে ৮০০ বেশি অফিসে ২২ হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় এক হাজার ৩০০ এরও বেশি কর্মী রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। গত দুই দশকে টুভ সুড সাউথ এশিয়া ১০ হাজারের বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়েছে। এই তিনটি দেশে ১৬টি ল্যাবসহ ৩০টি বিভিন্ন লোকেশনে অফিস রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পানি, কৃষি, খেলনা, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক, চামড়া, পরিবেশগত প্রযুক্তি, অবকাঠামো, পরিবহন ব্যবস্থা, আবাসন, সাপ্লাই চেইন, অটোমাবাইলে টেকনিক্যাল ও সফট-স্কিল ট্রেনিং দিয়ে থাকে টুভ সুড।