ঢাকা,
০১ জুন, ২০১৬: চায়না এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিইইসি) সাথে উন্নত প্রযুক্তির ও টেকসই জ্বালানী
প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চুক্তি করেছে দেশের নেতৃস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপ।
রাজধানীর
গুলশানস্থ বেক্সিমকোর কার্যালায়ে আজ এই চুক্তি
স্বাক্ষরিত হয়। সিইইসি-এনডব্লিউপিসি’র প্রেসিডেন্ট ফু
হংউই এবং বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহি আজমল কবীর নিজ নিজ কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এসময়
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং, বেক্সিমকো
গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান, ভাইস
চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, পরিচালক
শায়ান এফ রহমান, পরিচালক
ও প্রধান নির্বাহি সৈয়দ নাভেদ হুসেন সহ উভয় কোম্পানির
উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি
অনুযায়ী চারটি বড় প্রকল্পে একসাথে
কাজ করবে উভয় কোম্পানি। এগুলো হলো গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৮ মেগাওয়াটের সোলার
পানেল স্থাপন, গাইবান্ধায় ২০০ মেগাওয়াটের সোলার প্যানেল স্থাপন, ৬৬০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন এবং বিদ্যুৎ বিতরনের জন্য একটি যৌথ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা।
চুক্তি
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিইইসি-এনডব্লিউপিসি’র প্রেসিডেন্ট ফু
হংউই বলেন, বেক্সিমকো’র মতো প্রতিষ্ঠানের
সাথে চুক্তি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। চীন সবসময়ই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সঙ্গী ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এরই অংশ হিসেবে আজকের এই চুক্তি যার
মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। আমরা আশা করছি আমাদের এই চুক্তি অন্যান্য
চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহিত করবে।
চুক্তি
স্বাক্ষর উপলক্ষ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন,
“আজ একটি বিশেষ দিন। আমরা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ছাদে ৮ মেগাওয়াটের সোলার
প্যানেল স্থাপন করতে যাচ্ছি। যা বাংলাদেশ তো
বটেই দক্ষিণ এশিয়ায়ও অন্যতম বড়। সবচেয়ে বড় কথা অন্যতম
পরিবেশবান্ধব উপায়ে আমরা এটা স্থাপন করতে যাচ্ছি।”
তিন
আরো বলেন, “ভবিষ্যতে এই কোম্পানির সাথে
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ২০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার প্যানেল এবং ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের চুক্তিও আমরা সম্পন্ন করেছি। এছাড়া যৌথ একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
বাংলাদেশের
বিদ্যুৎ খাতে এটা একটা মাইলফলক বলেও জানান তিনি।